স্বদেশ ডেস্ক:
গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের অব্যাহত বোমা হামলার ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতি গ্রহণ করতে পারেননি আরব নেতারা। তারা মনে করছেন, অবিলম্বে গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তাতে একমত হয়নি।
শনিবার আম্মানে এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন যুদ্ধবিরতির জন্য জর্ডান ও মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যথাক্রমে আয়মান সাফাদি এবং সামেহ শুকরির অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যঅন করেন।
সাফাদি ইসরাইলি অব্যাহত হামলা প্রসঙ্গে বলেন, ’আমরা একে আত্মরক্ষা বলে গ্রহণ করতে পারছি না। যা চলছে, তা কোনো অবস্থাতেই যৌক্তিক বলে গ্রহণ করা যেতে পারে ন। এমনটা চলতে তা ইসরাইলের নিরাপত্তা বয়ে আনবে না। এমন হামলা এই অঞ্চলে শান্তি আনবে না।’
তবে ব্লিনকেন বলেন, যুদ্ধবিরতি হলে ‘হামাস পুনরায় সংগঠিত হতে এবং আবার হামলা’ চালানোর সুযোগ পাবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন যুদ্ধবিরতির বদলে মানবিক বিরতির আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে গাজায় সাহায্য পাঠানো যেতে পারে এবং হামাসের হাতে আটক বন্দীদের মুক্ত করা যেতে পারে।
গাজায় অব্যাহত হামলার মুখে ওয়াশিংটন এবং মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের দুই ঘনিষ্ঠ মিত্রের মধ্যে বিভাজন দেখা দিলো। ইসরাইল ৯ অক্টোবর থেকে গাজায় নৃশংস হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যা করতে চায় ইসরাইল
গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যা করতে ওঠেপড়ে লেগেছে ইসরাইল। কিন্তু চার সপ্তাহ ধরে অব্যাহত ভয়াবহ হামলার মধ্যেও তিনি অক্ষত রয়েছেন।
শনিবার ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট গাজায় তার দেশের ৯ সৈন্য নিহত হওয়ার খবর স্বীকার করার পর সিনওয়ারের বিষয়টি আবার সামনে আনেন।
ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘চলমান যুদ্ধের পর গাজায় হামাস আর থাকবে না। গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলে আর কোনো নিরাপত্তা হুমকি থাকবে না।’
ইসরাইল অবশ্য কেবল সিনওয়ার নয়, হামাসের অন্যান্য নেতার বাড়িতেও হামলা চালাচ্ছে। শনিবার তারা হামাসের ইসমাইল হানিয়ার গাজাস্থ বাড়িতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এ সময় হানিয়ার পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে ছিলেন কিনা জানা যায়নি। তিনি অবশ্য, ২০১৯ সাল থেকে তুরস্ক ও কাতারে বসবাস করে আসছেন।
সূত্র : আল জাজিরা, টাইমস অব ইসরাইল এবং অন্যান্য